Header Ads

গর্ভবতী মায়েদের ১০ টি গুরুত্বপূর্ন টিপস (Top 10 Health Tips for Pregnant Women)


প্রত্যেক নারীদের জন্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ন ধাপ হলো গর্ভধারন।গর্ভবতী মায়ের সুস্থ্যতার উপরেই নির্ভর করে গর্ভের শিশুর সুস্থ্যতা।এই সময়টাতে গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত যত্নের।তাই গর্ভবতী মা ও তার অনাগত শিশুর সুস্থ্য থাকার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা আবশ্যক।এ বিষয়ে ১০ টি পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ মোঃ ওয়ালি-উল্লাহ মিরাজ।

Top 10 health tips for pregnant women


১। গর্ভাবস্থায় কখনোই পেট খালি রাখা যাবে না।ব্রেকফাস্ট কখনোই যেন মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।প্রতিদিন পাচঁ থেকে ছয় বার খেতে হবে সুষম খাবার।সেই সঙ্গে পান করতে হবে প্রচুর পরিমান পানি ও ফলের রস।এ সময়ে অতিরিক্ত মসলা ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা বাঞ্চনীয়।

২। প্রতিদিন একজন গর্ভবতী নারীকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মধ্যম গতিতে হাঁটা খুবই স্বাস্থ্যকর।ওভারহ্যাটিং প্রতিরোধ করার জন্য শীতল ও ছায়াযুক্ত স্থানে হাটঁতে হবে।এ সময় সাবধানতা অবলম্বন করে হালকা কিছু ব্যয়ামও করা যেতে পারে।

৩। একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন কিন্তু গর্ভবতী মায়েদের ঘুমের প্রয়োজন আরো বেশি।প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা।রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দিনের বেলা ১ থেকে ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিন।গর্ভবতী মায়েদের ঘুমানোর জন্য বাঁ-কাত (বাম দিক) হয়ে শোয়া ভাল।

৪। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও ঢিলেঢালা পোষাক পরা উচিত।এ সময় আপনার নরম জুতা পরা উচিত  কারন বাড়তি ওজনের পুরোটাই বহন করে আপনার পা।এ সময় উচুঁ হিল পরা থেকে বিরত থাকুন।

৫। গর্ভাবস্থায় যথেষ্ট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।ক্যালসিয়াম গর্ভস্থ শিশুর মধ্যে হাড় গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং মায়ের হাড়ের ক্ষতি প্রতিরোধ করে।

৬। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না।ভারী যে কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।এছাড়াও পিচ্ছিল স্থানে হাঁটা এবং সিড়িঁ থেকে উঠা-নামার সময়ে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৭। গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল এবং যে কোন ধরনের তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ন পরিহার করতে হবে।অ্যালকোহলের কারনে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয়।

৮। গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত চাপ ও টেনশন এড়িয়ে চলতে হবে।এ সময়ে যতটা সম্ভব দুঃচিন্তা মুক্ত হাসি-খুশি থাকতে হবে।অতিরিক্ত চাপ ও টেনশন বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করে।তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচিত গর্ভবতী মায়েদের সব সময় হাসি-খুশি রাখা।

৯। গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে।তাই এই সময় গর্ভবতী মাকে যেকোন ধরনের ছোঁয়াচে রোগী থেকে দুরে রাখতে হবে।

১০। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না।

গর্ভকালীন সময়টুকু খুবই স্পর্শকাতর । একজন মা-ই জানেন সন্তান গর্ভে ধারন করার একদিকে সীমাহীন কষ্ট অন্যদিকে সীমাহীন আনন্দের অনুভূতি। একটি সুস্থ্য ও স্বাভাবিক সন্তান ভুমিষ্ঠে  গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও কিছু বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। পৃথিবীর সকল হবু মায়েদের প্রতি রইল শুভ কামনা।

No comments

Powered by Blogger.